শিশু সাঈদ হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ সোমবার সিলেটে আলোচিত শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন পুলিশ সদস্য এবাদুর রহমান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথিত ‘তথ্যদাতা’ আতাউর রহমান ওরফে গেদা ও জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক এন ইসলাম ওরফে রাকীব।
অপর আসামি জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মহি হোসেন ওরফে মাসুমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় শিশু সাঈদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
মহি হোসেনকে খালাস দেওয়ায় ঘটনায় শিশু সাঈদের বাবা ও আইনজীবীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে সিলেটের আরেক আলোচিত হত্যাকাণ্ড শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছিল আদালতের ১৭ কার্যদিবসে।
নগরের শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রায়নগরের দর্জিবন্ধ এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদকে গত ১১ মার্চ অপহরণ করে হত্যা করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের বাসা থেকে ১৪ মার্চ সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ এবাদুর, এন ইসলাম ওরফে রাকীব, আতাউর রহমান ওরফে গেদাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনজনই উল্লেখ করেন, মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করতেই সাঈদকে অপহরণ করেন। তবে সাঈদ তাঁদের চিনে ফেলায় গলা টিপে হত্যা করেন।
সাঈদের বাবা মতিন মিয়ার দায়ের করা মামলায় ওই তিনজনসহ জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মহি হোসেন ওরফে মাসুমকেও আসামি করা হয়। গত ৮ নভেম্বর পলাতক মাসুমের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে দুই দিন পর মাসুম আত্মসমর্পণ করেন।
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ১৭ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫