অং সান সুচির অস্ট্রেলিয়ান উপদেষ্টা সিন টার্নেলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানাতে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তালব করে কড়া নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজ পাইনে। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে তাকে জানিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, অং সান সুচির অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা সিন টার্নেল। একই সঙ্গে তিনি সিডনিতে ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির একজন প্রফেসর। সামরিক অভ্যুত্থানে সুচিকে গ্রেপ্তার করার পর তাকেও গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। শনিবার টার্নেল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, তাকে আটক করা হয়েছে। তারপর থেকে তার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ করা যায়নি।
নিজের আটকের কথা তিনি একটি বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন। তাতে বলেছেন, আপনারা হয়তো তাড়াতাড়িই শুনতে পাবেন, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ যেকোনো কিছু হতে পারে। তবে আমি জানি না তা কি। আমি ভাল আছি। মনোবল শক্তিশালী আছে। আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমার চারপাশে সবাইকে বেশ ভদ্র মনে হচ্ছে। কিন্তু আমি মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারছি না।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজ পাইনে জানান, মিয়ানমারে খেয়ালখুশি মতো অস্ট্রেলিয়ান ও অন্য বিদেশিদের আটকের খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়া সরকার। মিয়ানমারে বেশ কিছু অস্ট্রেলিয়ানকে কনস্যুলার সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। বিশেষ করে একজন অস্ট্রেলিয়ানকে আটক করা হয়েছে একটি পুলিশ স্টেশনে। এ নিয়ে আমরা গুরুত্বর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ কথা জানাতে আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিলাম। তার কাছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, মিয়ানমারে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ানদের বিষয়ে ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাস নিরাপত্তা ও যোগাযোগ রক্ষা করছে।
সিন টার্নেলের লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে বসবাস করছেন ন্যাপিডতে। তিনি এ সময় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির বিশেষ অর্থনৈতিক পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির এক মুখপাত্র বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দীর্ঘদিনের একজন ডিস্টিংগুইশড সদস্য সিন টার্নেল। ওই মুখপাত্র বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি মিয়ানমারে যে কাজ করেন তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে।