টানা পয়েন্ট হারিয়ে শিরোপার দৌড় থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার সাউদাম্পটনকে উড়িয়ে জয়ে ফিরলো রেড ডেভিলরা। মঙ্গলবার রাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৯ জনের প্রতিপক্ষের জালে ৯ বার বল জড়িয়েছে ওলে গানার সুলশারের শিষ্যরা।
জোড়া গোল করেন অঁতনি মার্শিয়াল। একটি করে গোল করেন অ্যারন ওয়ান-বিসাকা, মার্কাস রাশফোর্ড, এডিনসন কাভানি, স্কট ম্যাকটমিনে, ব্রুনো ফের্নান্দেস ও ড্যানিয়েল জেমস। অন্যটি আত্মঘাতী।
ম্যাচের শুরু আর শেষ দিকে লাল কার্ড দেখেন সাউদাম্পটনের দুই খেলোয়াড়। ম্যাচ শুরু হওয়ার ৮২ সেকেন্ডে স্কট ম্যাকটোমিনেকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া সাউদাম্পটনের আলেক্সান্দ্রে জ্যাংকেউইজ।
গোল উৎসবের শুরুটা করেন অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে লুক শ’র ক্রস থেকে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।৭ মিনিটের ব্যবধানে স্কোরলাইন ২-০ করেন রাশফোর্ড। ম্যাসন গ্রিনউডের অ্যাসিস্টে ২৫ মিনিটে সেইন্টস কিপার অ্যালেক্স ম্যাকক্যার্থিকে পরাস্ত করেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। স্বাগতিকদের তৃতীয় গোলটি উপহার দেয় সাউদাম্পটন। রাশফোর্ডের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে ৩৪তম মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়ান জ্যান বেডনারেক। প্রথমার্ধের এক দম শেষ দিকে ব্যবধান ৪-০ করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি।
দ্বিতীয়ার্ধে কাভানিকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় অঁতনি মার্শিয়ালকে। ৬৯তম মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন এই বদলি খেলোয়াড়। ষষ্ঠ গোলটি করেন ম্যাকটোমিনে।
৮৬তম মিনিটে বক্সের মধ্যে মার্শালকে ফাউলকে করে লাল কার্ড দেখেন সাউদাম্পটনের বেডনারেক। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। শেষ দুটি গোল করেন মার্শাল ও ড্যানিয়েল জেমস। প্রিমিয়ার লীগে এই নিয়ে তৃতীয়বার কোনো ৯-০ গোলে জিতল। ১৯৯৫ সালে ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে ম্যানইউ ৯-০ গোলে, ২০১৯ সালে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে লেস্টার সিটি একই ব্যবধানে জিতেছিল।
শীর্ষে থাকা ম্যানসিটির সমান ৪৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ২২ ম্যাচ খেলা ম্যানইউ। দুটি ম্যাচ কম খেলে গোলব্যবধানে এগিয়ে থেকে তাদের উপরে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।