মার্কিন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিমান হামলায় ২০১৭ সালের পর থেকে বেসামরিক মানুষ নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৩৩০ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্টস অব ওয়্যার প্রজেক্ট এই গবেষণায় বলেছে, এর মধ্যে শুধু ২০১৯ সালে নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ বেসামরিক মানুষ। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় দু’জন করে মানুষ মারা গেছেন। তারা আরো বলেছে, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে। সেই প্রথম বছর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই এক বছরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। গবেষকরা বলেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এ কারণে বিমান হামলা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে মনে হচ্ছে তারা একটি শান্তিচুক্তির আলোচনায় তালেবানদের ওপর অধিক চাপ প্রয়োগের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় তালেবানদের সঙ্গে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা থেকে সরে যায়। একই সঙ্গে তারা আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কস্টস অব ওয়্যার প্রজেক্ট দেখতে পেয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান চুক্তি করার পর থেকে বিমান হামলার গতি বাড়িয়েছে আফগানিস্তান। অন্যদিকে আফগান সরকার তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কস্টস অব ওয়্যার প্রজেক্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইতিহাসে যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি পরিমাণ আফগান বেসামরিক মানুষের ক্ষতি করছে আফগানিস্তানের বিমান বাহিনী। এ বছরের প্রথম ৬ মাসে তারা হত্যা করেছে ৮৬ জন বেসামরিক মানুষকে। এতে আহত হয়েছেন ১০৩ জন। গত মাসে দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন দেখতে পেয়েছে যে, আফগানিস্তানে গত ১৪ বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে ৫টি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ২৬ হাজার ২৫টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।