দিনাজপুরের বিরলে দু’টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে প্রেমিক এবং গরু’র জন্যে ঘাস কাটতে গিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতার কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক দিনমজুরের গৃহবধূ। ধর্ষণের দু’টি ঘটনায় পৃথক পৃথক ভাবে বিরল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিরল উপজেলার ১১ নং পলাশবাড়ী ইউপি’র ইভিরামপুর (বাহইল) গ্রামে এক দিনমজুরের গৃহবধূ গরু’র জন্যে ঘাস কাটতে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে যায়। এসময় ইভিরামপুর (বাহইল) গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে এবং ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একরামুল হক (৪০) ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ২রা নভেম্বর দিবাগত রাতে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক একরামুল হককে আসামি করে বিরল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। তার পরেও ওই মহলটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের লোকজন। ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাদের নেতৃত্বে এনিয়ে থানা চত্বরের গোল ঘরেই কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠকও হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের নরশিংপাড়ার কেরাম উদ্দীনের ছেলে প্রেমিক সাগর (২০) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে।
এঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাদী হয়ে বিরল থানায় এজাহার দাখিল করেছে। এ বিষয়ে বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বলেন, দিনমুজুরের স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে থানায় একটি সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।